Welcome to Chittagong University Museum

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর: বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের আধার

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর বাংলাদেশের একমাত্র ইনস্টিটিউশনাল বা প্রাতিষ্ঠানিক জাদুঘর, যা বাংলাদেশের জনগণের আত্মপরিচয় অনুসন্ধানের এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের এক স্বতন্ত্র আঁতুড়ঘর । এই জাদুঘরটি ১৯৭৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছিল । আজ অব্দি ইতিহাস, শিল্পকলা, জাদুঘর-বিদ্যা, সাহিত্য, সমাজ, নৃতত্ত্ব এবং বাংলাদেশের ঐতিহ্য বিষয়ে নাগরিক, পাঠক ও লেখকদের জন্য  অসামান্য গবেষণা কেন্দ্র হিসাবে সদর্পে দাঁড়িয়ে আছে এই আধুনিক সংগ্রহশালা ।

জাদুঘর প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য গোড়ার কথা

জাদুঘর প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ইতিহাসবিদ আজিজুর রহমান মল্লিকের (১৯১৮-১৯৯৭)। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের আগে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক এবং একই সাথে বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর বা রিসার্স মিউজিয়ামের অধ্যক্ষ বা কিউরেটর ছিলেন। সুতরাং ধরে নেয়া যায় যে তিনি চট্টগ্রামে আসার সময়ই এখানে জাদুঘর প্রতিষ্ঠার স্বপ্নটি পকেটে করে নিয়ে এসেছিলেন।

সেই স্বপ্নের পালে হাওয়া লাগে যখন তাঁর সাহায্যে যোগাড়কৃত ২৪ টি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, যা তিনি ইতিহাস বিভাগে সংরক্ষণের জন্য রেখেছিলেন, ১৮ নভেম্বর ১৯৬৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধন লগ্নে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করেন। একটি সূত্রমতে, এই নিদর্শনগুলো তৎকালীন পাকিস্তান জাদুঘর সমিতির সভাপতি জনাব মমতাজ হাসানের নিকট থেকে অনুদান হিসাবে প্রাপ্ত।

দূরদৃষ্টিসম্পন্ন প্রশাসক প্রফেসর মল্লিক  বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো দাঁড় করার কাজে শীঘ্রই যারপরনাই ব্যস্ত হয়ে পড়ায় জাদুঘর প্রতিষ্ঠার স্বপ্নটি তিনি ইতিহাস বিভাগের প্রধান ড. আবদুল করিমের কাছে হস্তান্তর করেন।  জাদুঘর প্রতিষ্ঠায় করিম সাহেবের চেয়ে অধিক যোগ্য লোক আর তখন মেলেনি। আবদুল করিম ছিলেন একজন মুদ্রাতাত্ত্বিক আর শিলালিপিবিশারদ। বাংলার মধ্যযুগের ইতিহাস বিষয়ে গবেষক হিসাবে আবদুল করিম তখনই আন্তর্জাতিক পরিসরেও একটা সমীহ জাগানিয়া উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছিলেন। ড. করিম জাদুঘর প্রতিষ্ঠায় তাঁর স্বভাবসুলভ নিষ্ঠা পুঁজি করে নেমে পড়লেন। সাথে যুক্ত হলেন তাঁর ছাত্র শামসুল হোসাইন, যিনি পরে এই জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা সহকারী কিউরেটর নিযুক্ত হন।

১৯৬৭ সালে ইতিহাস বিভাগের উদ্যোগে এবং আবদুল করিমের নেতৃত্বে বিভাগের প্রথম ব্যাচের ছাত্রদের নিয়ে চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার পরাগলপুরে একটি প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ পরিচালনা করা হয়। এ যাত্রায় তাঁরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন- শিলালিপি, স্থাপত্য নিদর্শন ও একটি মসজিদের মিহরাব– খুঁজে পান। এর সবই জাদুঘর প্রতিষ্ঠার স্বপ্নের ঝোলায় গুঁজে দেয়া হয়।

ইতিহাস বিভাগের সাথে জাদুঘর প্রতিষ্ঠার নাড়ির সম্পর্ক থাকায় জাদুঘরবিশারদ এনামুল হক ঠিকই  উল্লেখ করেছেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত এই জাদুঘরের প্রাথমিক নাম ছিল ‘ইতিহাস বিভাগ জাদুঘর’।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর প্রতিষ্ঠা তথা বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে যাঁরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন।

১৮ নভেম্বর ১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়  উদ্বোধনকালে গভর্নর মোনেম খানের সাথে উপাচার্য এ আর মল্লিক। এই অনুষ্ঠানেই ইতিহাস বিভাগে সংরক্ষিত ২৪ টি প্রত্নসামগ্রী প্রদর্শিত হয়।

জাদুঘরের আনুষ্ঠানিক যাত্রা উন্নয়ন:

১৯৭৩ সালে সাহিত্যিক ও অধ্যাপক আবুল ফজলের হাতে জাদুঘরের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু । তিনি তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। এর আগে শামসুল হোসাইন জাদুঘর প্রতিষ্ঠার নিয়মকানুন বিষয়ক একটি খসড়া ড.আবদুল করিমের হাতে তুলে দেন।  করিম সাহেব সেই খসড়াটি সম্পাদনা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে পেশ করেন । তাঁর অনুরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ফাইন্যান্স কমিটি এবং সিন্ডিকেট । এইক্রমে ১৪ জুন ১৯৭৩ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে।

প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন যা এখন আবদুল করিম ভবন নামে পরিচিত তার দোতলার একটি কক্ষে ৩০ টি প্রত্ননিদর্শন নিয়ে জাদুঘরের কর্মকাণ্ড শুরু হয়। পরের এক দশক নানা নাটকীয়তার ভেতর দিয়ে এই জাদুঘরটির কলেবর বাড়তে থাকে। ১৯৭৬ সালে তৎকালীন ঢাকা মিউজিয়ামের হস্তক্ষেপে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে অবৈধভাবে পাচার হতে যাওয়া যে দুই ডজন মূর্তি উদ্ধার করা হয় তা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘরকে প্রদান করা হয়। এর সাথে ১৯৭৯ সালে যুক্ত হয় বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর প্রদত্ত বেশ কিছু মূর্তি। সবই এই বিশ্ববিদ্যালয় মিউজিয়াম সংগ্রহশালাকে সমৃদ্ধ করে।

জাদুঘরের স্থানিক বিবর্তন

কলাভবন থেকে জাদুঘর বেশ কয়বার স্থান বদলায়। এর মধ্যে ১৯৭২ সালে চট্টগ্রাম শহরে এম এম আলী রোডের জিলা শিল্পকলা একাডেমী হয়ে ১৯৮৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবন ঘুরে বর্তমান গ্রন্থাগার সংলগ্ন স্থানে স্থায়ী খুঁটি গাড়ে ১৯৯২ সালে।

জাদুঘর সংগ্রহশালা এবং প্রাতিষ্ঠানিক উদ্দেশ্য

মুদ্রা, মেডেল, স্থাপত্য নিদর্শন, টেরাকোটা, কাঠের কাজ, তৈজসপত্র, অলংকার, পোশাক-আশাক, চিত্রকর্ম, লোকশিল্প, ক্যালিওগ্রাফি ইত্যাদি সহ নানা নিদর্শনে সমৃদ্ধ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর। তবে মিউজিয়ামটির আসল গুপ্তধন  আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ রেফারেন্স লাইব্রেরী, যেখানে রয়েছে জাদুঘরবিদ্যা বিষয়ক অতি গুরুত্বপূর্ণ সংগ্রহ — মুদ্রাতত্ত্ব, ভাস্কর্যশিল্প, স্থাপত্যবিদ্যা, শিল্প-ইতিহাস, শিলালিপি-বিদ্যা বিষয়ক মহামূল্যবান আকর গ্রন্থ, অন্যান্য বইপত্র, জর্নাল, পুঁথি ছাড়াও আরবী, ফার্সী, পালি আর সংস্কৃত ভাষায় লেখা নানান দুষ্প্রাপ্য পান্ডুলিপির সমাহার।

সঙ্গে আছে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ নানা আর্কাইভাল উপাদান মিলিয়ে সাহিত্যবিশারদ গ্রন্থাগারের মোট সংগ্রহ প্রায় আট হাজার।

এই সুযোগে ইসলামিক পাণ্ডুলিপির কথা একটু আলাদা করেই বলা প্রয়োজন । কারণ ‘ওয়ার্ল্ড সার্ভে অব ইসলামিক ম্যানাস্ক্রিপ্ট’ সারা পৃথিবীর সকল সংগ্রহশালা থেকে ইসলামিক পাণ্ডুলিপি আলাদা করে বালাম প্রকাশ করেছে । সেখানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘরের সংগ্রহেরও উল্লেখ আছে।

এই জাদুঘরে ১৫৯ টি পাণ্ডুলিপির মধ্যে ৪০টি আরবী, ৩টি বাংলা, ১১১টি ফার্সী এবং  ৫টি উর্দু ভাষায় প্রকাশিত। উল্লেখযোগ্য এইসব পান্ডুলিপির মধ্যে হাতে লেখা “নখশ-ই-সোলাইমানি” ছাড়াও “বুস্তান ই সাদি”, “ইয়ার-ই-দানিশ”, “মাকাসিদ যাদব আল কিতাব–ইলা-দিয়ার-আল মাহবুব” , “তাফসির-ই-মোহাম্মদীয়া”, “তাজ-আল-মুলক ওয়া বাকাওয়ালী” ও বাংলায় লেখা ইমাম হাসান ও হোসেনসহ আরও অনেক কেতাব ।

প্রাতিষ্ঠানিক জাদুঘরের বিশেষ বৈশিষ্ট্য গবেষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং তাঁদের জ্ঞান-সাধনার পরিবেশ তৈরী করা । আজিজুর রহমান মল্লিক, আবদুল করিম ও শামসুল হোসাইনের হাত ধরে এগোতে এগোতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর এখন  একটি পরিপূর্ণ প্রাতিষ্ঠানিক জাদুঘরের চরিত্র ধারণ করেছে।

দার্শনিক ভিত্তি পরম্পরা

ইতিহাসবিদ আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দিনের মতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের জনগণের ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিল্পকলা, প্রত্নতত্ব্ব ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি ও তাঁর ক্রমাগত উন্নয়ন । আগেই উল্লেখ করা হয়েছে,  এই জাদুঘর সেই লক্ষ্যে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছে। বলা যায়, জাদুঘরটি এখন মাত্র বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং তা নিয়ে গবেষণার মসলা পরিবেশনেই ব্যস্ত নয়, বরং উল্লেখিত বিষয় সম্পদ নিয়ে দণ্ডায়মান ।  বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আদি শপথকে পূর্ণতা প্রদানে বদ্ধ পরিকর এই জাদুঘর ।

রবিবার ২রা অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান

অধ্যাপক, ইতিহাস বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

পরিচালক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর

The Chittagong University Museum: An Academic and Cultural Repository

The Chittagong University Museum (CUM) is recognized as the first institutional museum of its kind in Bangladesh, uniquely serving as both a center for national identity and a repository of cultural heritage. Established in 1973, the museum offers a comprehensive research platform, inviting scholarly exploration across disciplines such as history, art, architecture, museology, literature, sociology, anthropology, and heritage studies, with special emphasis on memorials of the liberation war.

Origins and Founding Vision

The concept of CUM was initially inspired in 1966 by Professor Azizur Rahman Mallick (1918-1997), the first Vice-Chancellor of Chittagong University. Dr. Mallick, a historian and former curator of the Varendra Research Society Museum at Rajshahi University, envisioned creating a similar institution at Chittagong University. This vision gained momentum during an exhibition organized by the History Department, showcasing 24 artifacts during the university’s inauguration on November 18, 1966. A source indicated that the displayed artifacts were donated by Mr. Mumtaz Hasan, who served as the president of the Museum Association of Pakistan.

 

While administration duties limited Mallick’s direct involvement, he entrusted the task to Dr. Abdul Karim, a distinguished medievalist, numismatist, and epigraphist who was the then Head of the History Department. Professor Karim, with the assistance of his student and future Deputy Curator Shamsul Hussain, worked towards formally establishing the museum.

In 1967, under Dr. Abdul Karim’s guidance, the History Department conducted a field survey that extended to Paragalpur in the Zorwarganj Union of Mirsharai Upazila. This archaeological expedition yielded significant artifacts, including inscriptions and architectural elements from a mosque’s mihrab, which contributed to the museum’s foundational collection (Abdul Karim, Samaj O Jibon, Vol. II, Jatiya Sahitya Prakash, 2008, p. 11).

 
 

Visionaries and Founders of the Chittagong University Museum: Pioneers in Preserving the Culture and Heritage of Bangladesh

Formal Inauguration of the University of Chittagong by Governor Monem Khan and Professor Azizur Rahman Mallick.
According to a source, the concept of the Chittagong University Museum emerged from an exhibition of 24 artifacts organized by the History Department to commemorate the University’s inauguration on November 18, 1966, launched by Governor Monem Khan.

Formal Establishment and Development

The museum’s formal inception occurred in 1973, under the vice-chancellorship of Professor Abul Fazal. At this time, Mr. Shamsul Hussain submitted a proposal for the museum’s establishment to Dr. Abdul Karim, who subsequently advanced it to the university authorities. Following endorsements from the Finance Committee and the Syndicate, the Chittagong University Museum (CUM) was officially inaugurated on June 14, 1973. Initially, it housed a foundational collection of 30 artifacts in a modest space on the first floor of the Arts Faculty building, now known as Abdul Karim Bhaban.

Over the following decades, the museum expanded through various contributions. In 1976, Dhaka Museum intercepted nearly two dozen stone sculptures en route for illegal export through Chittagong Port; these were later allocated to Chittagong University, marking a significant expansion of the museum’s collection. Additional sculptures were donated by the Varendra Research Museum in 1979, further enriching CUM’s holdings. Although the exact origins of these pieces remain somewhat ambiguous, most are believed to have originated in northern Bangladesh ( Haque & Gail, Sculpture in Bangladesh, International Centre for the Study of Bengal Art, 2008, p. 288).

Evolution of Location

Initially housed within the university’s Arts Faculty building, the museum was subsequently relocated multiple times, including to the Zilla Shilpakala Academy on M.M. Ali Road in Chittagong and third floor of the then Central Library building on the university campus in 1988. CUM ultimately settled in its current premises in 1992.

Collections and Academic Objectives

The Chittagong University Museum holds a diverse collection of cultural artifacts, including coins, medals, sculptures, terracotta, woodwork, porcelain, jewelry, textiles, and folk art. It also safeguards a corpus of rare manuscripts and documents. The museum library, known as the Abdul Karim Sahityavisharad (1871-1953) Reference Library, holds an extensive collection of approximately 8,000 entries including archival materials. This library serves as a valuable resource for scholars, particularly those engaged in research on museology, as well as history and culture of Bangladesh. It is a significant repository for academic inquiry, offering a comprehensive array of materials that support the advancement of knowledge in these fields.

Among the museum’s most notable holdings are its 159 Islamic manuscripts, which are classified as follows: 40 in Arabic, 3 in Bengali, 111 in Persian, and 5 in Urdu. This collection includes eight complete, illuminated Qurans, and various works of religious and historical significance. Highlights include Naqsh-i-Sulaymani by Shaykh Abd al-Wasih in his handwriting, Bustan-i-Sadi (dated 1161 Maghi), Iyar-i-Danish (dated 1148 AH), and Maqasid by Shah Wali Allah Dihlavi (dated 1148 AH/1264 Maghi). Additionally, the collection features a Persian manuscript on the therapeutic properties of Quranic verses commissioned by Tipu Sultan, as well as Jadhb al-Qulub ila Diyar al-Mahbub by Shaykh Abd al-Haqq Muhaddith-i Dihlavi. Notable manuscripts such as Tafsir-i Muhammadiya (Ampara), Taj al-Muluk wa Bakawali in Urdu, and a Bengali manuscript on Imam Ali, Hasan, and Husayn further reflect the museum’s scholarly value ( Roper, World Survey of Islamic Manuscripts, Vol. 1, Al-Furqan Islamic Heritage Foundation, 1992, p. 60).

Philosophical Foundation and Legacy

According to historian and National Professor Alamgir Muhammad Serajuddin, a university museum’s purpose is to “stimulate interest in, and encourage understanding and appreciation of, our history, archaeology, and art, and advance learning by providing materials and facilities for research” (AM Serajuddin, Art and the Vintage, 1998, Preface). CUM operates with these guiding principles, contributing to the preservation and advancement of Bangladeshi cultural and historical heritage. As the first research museum founded under a university in Bangladesh, CUM not only serves as an educational resource but also stands as a testament to Chittagong University’s commitment to intellectual pursuit and preservation of our cultural heritage.

September 2024

Dr. Mohammad Zahidur Rahman

Professor, Department of History, University of Chittagong

                and
Director, Chittagong University Museum

Galleries